SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) - ৩.৪.২.৩ সুতাকৃমি

৩.৪.২.৩ সুতাকৃমিঃ

মুরগির সুতাকৃমি হচ্ছে ক্যাপিলারিয়া গণের অন্তর্ভূক্ত বেশ কয়েক প্রজাতির গোলকৃমি। এদেরকে চুলকৃমি বলা হয়। ক্যাপিলারিয়া অ্যানুস্যাটা মুরগির খাচ্চनাগি বা ইসোফেগাস ान বা न এবং ক্যাপিলারিয়া জ্বৰ সিগন্যাটা ক্ষুদ্ৰায়ে বসবাস করে । উভয় ধরণের কৃমির ডিমই মুরগির পায়খানার সাথে ৰেৱ হয়ে আসে। ডিমের মধ্যে লার্ভা জন্মায়। এর লার্ভা সম্বলিত ভিম কেঁচো খেয়ে ফেলে। কেঁচোর দেহের ভিতরে লার্ভা বৃদ্ধি লাভ করে। মুরগি যখন কেঁচো খায়, তখন কৃমির এ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত লার্ভা কেঁচোর দেছ থেকে মুরগির দেহে চলে আসে এবং পরিণত কৃমিতে স্বগাথারিক হয়।

কৃমির বিস্তার 

মানুষের ব্যবহৃত জামাকাপড়, খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বন্য পশুপাখি প্রভৃতির মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কৃমির ডিমের বিস্তার ঘটে। খাদ্য অথবা পানির মাধ্যমেও সংক্রমিত হয় ।

লক্ষণ

আক্রান্ত পাখির দেহে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়। যথা-

  • দৈহিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। 
  • দৈহিক ওজন একেবারে কমে যায়।
  • পালক উসকো খুশকো দেখায় । 
  • পাতলা পায়খানা হয়। 
  • রক্তশূন্যতা দেখা দেয় । 
  • অবশেষে পাখি মারা যায়।

চিকিৎসা 

নিম্নলিখিতভাবে আক্রান্ত পাখির চিকিৎসা করা যায়। যথা-

  • পানির সাথে নির্দিষ্ট মাত্রায় লেভামিজল মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায় । 
  • পাইপারজিন গ্রুপের কৃমিনাশকও প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রতিরোধ 

সুতাকৃমির প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্যান্য গোলকৃমির প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতোই।

 

 

 

Content added By
Promotion